ভিনরাজ্যে মাসির বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ডুয়ার্সের বাসিন্দা এক কিশোরীকে বিহারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির গয়েরকাটা এলাকায় এক আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধৃত মহিলার দাবি তাঁর কোনও দোষ নেই। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে চা বলয় এলাকায় নারী পাচারের অভিযোগ ফের আরও একবার সামনে আসতে শুরু করেছে।
ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, মাস দুয়েক আগে ওই কিশোরীকে বিহারের সিওয়াল জেলার হাঁড়িয়াপুর কালাগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাসির বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করেই তাকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিহারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে তাকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে দিনের পর দিন ধরে মেয়ে বাড়িতে না ফিরে আসায় কিশোরীর পরিবার বিহারের ওই ব্যক্তির সন্ধান পান।
বার বার চাপ দেওয়ার পর ওই কিশোরীকে ছেড়ে দেয় ওই ব্যক্তি। কিশোরী বাড়ি ফিরে আসার পরেই বিষয়টি আরও জানাজানি হয়। তখনই ওই মহিলার বিরুদ্ধে সন্দেহ জোরালো হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার তার বাড়ি ঘিরে ফেলে বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ওই মহিলাকে আটক করে। কিশোরীর দিদির দাবি,' ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বোনকে জোর করে বিহারে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।' কিশোরীর দাবি, তাকে জোর করে নাচানো হত। নাচতে না চাইলে মারধর করা হত। তার মাসি তাকে উদ্ধার করেছে বলে কিশোরীর দাবি । পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।