জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। হিটারে পুড়ে মৃত্যু হল নবজাতকের। এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের গাফিলতির কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার। তাদের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো ব্যবস্থা নিলে শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হতো।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার ময়নাগুড়ির চুড়া ভান্ডারের বাসিন্দা সুজিত মন্ডলের স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। এরপর তাকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেইদিনই পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ওই গৃহবধূর। পুত্র সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, তাদের খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। জন্মের কিছুক্ষণ পরে পুত্র সন্তানের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের লোকেরা। তাদের অভিযোগ, জন্মের পর শিশুকে হিটারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময় কোনও নজরদারি না থাকায় পুড়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন শিশুর পরিবার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোম চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শিশুর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত শিশুর পরিবার। তারা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।