ট্রেনের কামরায় বসেছিলেন এক মহিলা। তিনি পেশায় নার্স। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে তিনি কর্মরত। নাম মেঘা মণ্ডল। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের ট্রেনে ছিলেন ওই নার্স। এমন সময় এক ছিনতাইকারী সম্ভবত তাকে অনুসরণ করছিল। দ্রুত তার কাছ থেকে ফোনটি ছিনতাই করার চেষ্টা করে ওই যুবক।
এদিকে ফোনটি কাড়তে আসতেই তাতে বাধা দেন মেঘা। এরপর ওই ছিনতাইকারী নার্সের গলা টিপে ধরে বলে অভিযোগ। তারপরই শুরু হয় ধস্তিধস্তি। সেই সময়ই ওই ছিনতাইকারী হাত ছাড়িয়ে ট্রেন থেকে লাফ মেরে দেয়। আর তখনই ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে পালটা লাফ মেরে দেন মেঘাও। কিন্তু তিনি চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিন্তু গোটা ঘটনায় সহযাত্রীদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। কারণ ওই কামরায় আরও যাত্রীরা ছিলেন। ছিনতাইকারী যখন মহিলার গলা টিপে ধরেছিল তখনও কিছু করতে চায়নি অন্য়ান্য যাত্রীরা। তারা বাধা পর্যন্ত দেননি। এরপর যুবককে ধরে ফেলেন মেঘা। কিন্তু অন্য় হাত দিয়ে তার গলা টিপে ধরে যুবক। এদিকে গলা টিপে ধরতেই একেবারে দমবন্ধ হয়ে আসে ওই নার্সের। তিনি এরপর হাতটা ছেড়ে দেন। আর তখনই ছিনতাইকারী মোবাইল নিয়ে ট্রেন থেকে লাফ দেয়।
তবে তখনও অন্য সহযাত্রীরা কেউ এগিয়ে আসেননি। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় ক্যানিং হাসপাতাল থেকে ডিউটি সেরে আপ ক্যানিং শিয়ালদহ লোকালে চেপেছিলেন। সোনারপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মাতলা হল্ট স্টেশন আসতেই ছিনতাইকারী তার মোবাইলকে টার্গেট করে। তার সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিও হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ছিনতাইকারীর পিছু পিছু চলন্ত ট্রেন থেকেও ঝাঁপ দেন। তবে অল্পের জন্য় রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ছিনতাইকারীর খোঁজ চলছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে ছিনতাইকারীর খোঁজ চলছে। সেই সঙ্গে পুলিশের ধারণা ওই ছিনতাইকারীও জখম হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সে কোথায় গেল সেটাও দেখা হচ্ছে।