বারাকপুর ফেরি ঘাট থেকে শেওড়াফুলির দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। আচমকাই ঝপাৎ করে কিছু পড়ার শব্দ পান যাত্রীরা। এরপরই তাঁরা বুঝতে পারেন নৌকার আরোহী এক বৃদ্ধা ঝাঁপ দিয়েছেন। এদিকে নৌকাতে থাকা মাঝির সঙ্গী তৎক্ষণাৎ নৌকা থেকে ঝাঁপ দেন। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয় শেষ পর্যন্ত। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বৃ্দ্ধার বয়স প্রায় ৭০ বছর। তিনি বারাকপুর ফেরি ঘাট থেকে নৌকায় উঠেছিলেন। টিকিট কেটেই তিনি নৌকায় ওঠেন। কিন্তু তিনি যে এমনটা করবেন তা কোনওভাবেই আঁচ করা যায়নি। মনের কোণে কোনও মন খারাপ জমা হয়েছিল কি না সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। আচমকাই নৌকা যখন প্রায় গঙ্গার মাঝামাঝি চলে এসেছে তখনই তিনি ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
শেওড়াফুলি ফেরিঘাটের এক কর্মী জানিয়েছেন, আমার সামনেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন বৃদ্ধা। সম্ভবত আত্মহত্যা করার জন্যই তিনি এই কাজ করেন। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরামপুর ফেরিঘাটকে উদ্ধারকারী নৌকা পাঠানোর জন্য ফোনে খবর দিয়েছিলাম।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই বৃদ্ধার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। তারপর তাঁর বাড়িতেও খবর দেওয়া হবে।