পাওনা টাকা দিতে দেরি হচ্ছিল। আর তা নিয়েই চরমে উঠল অশান্তি। মাত্র ৭৫ টাকার জন্য খুন হতে হল বৃদ্ধকে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমের নানুরে। নমাজ পড়ে ফেরার পথে ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। বীরভূমের নানুরের হারমুর গ্রামের এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন মৃতের ভাইও।
ঠিক কী ঘটেছে নানুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শেখ শাহনাওয়াজ বীরভূমের নানুরের হারমুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গ্রামের বাসিন্দাদের জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দা শেখ শাহজাহান, শেখ তারু, শেখ জামিরদের বীজতলাতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন শাহনাওয়াজ। এরা প্রত্যেকে একে অপরের ভাই। এই চাষ করার জন্য শেখ শাহনাওয়াজকে ৬৭৫ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৬০০ টাকা দিলেও ৭৫ টাকা দেয়নি শেখ শাহজাহান, শেখ তারু এবং শেখ জামির। এমনকী বাকি ৭৫ টাকা দেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছিল তারা। তাই নিয়ে অশান্তি।
তারপর সেখানে কী ঘটল? অভিযোগ, এই ৭৫ টাকা না দেওয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আজ, শনিবার সকালে শেখ শাহনাওয়াজের দুই ছেলের সঙ্গে শেখ শাহজাহান, শেখ তারু এবং শেখ জামিরের ঝগড়া হয়। বেলা বাড়তেই শেখ শাহনাওয়াজ এবং তাঁর ভাই শেখ সদাই মসজিদে নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন দু’জনেকে প্রকাশ্যে রাস্তায় লাঠি, চেলা কাঠ দিয়ে মারধর করা হয়। শেখ সদাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও শেখ শাহনাওয়াজ পালাতে পারেননি। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়। যার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী দাবি পরিবারের? এই বিষয়ে নিহত শেখ শাহনাওয়াজের স্ত্রী হামিদা বিবি বলেন, ‘চাষ করতে ট্রাক্টর নেওয়ার জন্য ৬৭৫ টাকার চুক্তি হয়। ওরা ৬০০ টাকা দিয়েছিল। ৭৫ টাকা দেয়নি। শনিবার সেই টাকা চাইতে গিয়েছিল আমার স্বামী। তখন শেখ শাহজাহান, শেখ তারু, শেখ জামির শাহনাওয়াজকে পিটিয়ে খুন করে। আমি ওদের শাস্তি চাই।’