এক দম্পতির জোড়া মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়। আজ, শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার বারুইপুর রেল কলোনি এলাকায়। সাংসারিক বিবাদ থেকেই স্বামী–স্ত্রী দু’জনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের সংসারে অভাব–অনটন শুরু হয়। তা থেকেই বিবাদ শুরু হয়। যার পরিণতি আত্মহত্যা।
ঠিক কী ঘটেছে বারুইপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, অল্প বয়সেই বিয়ে করে ফেলেন সুজয় ও বসুমতি। আগে তাঁদের প্রেম ছিল। সেটাই বাস্তবে পরিণতি পায়। মৃত সুজয় দাস (১৯) এবং বসুমতি দাস (১৮) কয়েকবছর ধরে একসঙ্গেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু মাঝে তাঁদের সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়েছিল আর্থিক টানাটানির দরুণ। আর আজ, শুক্রবার সকালে তাঁদের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, দু’বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুজয়–বসুমতির মধ্যে। পরে সেটা ঘনিষ্ঠ আকার নেয়। তারপর সেখান থেকে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু সুজয় কোনও চাকরি করতেন না। ফলে সংসারে অভাব–অনটন দেখা দিয়েছিল। বন্ধুরা অনেক সময় কিছু টাকা সাহায্য করতেন। কিন্তু তাতে সংসার চালানো সম্ভব ছিল না। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের একটা সন্তান জন্ম নেয়। এখন তার ৯ মাস বয়স। তাই সাংসারিক বিবাদ লেগেই ছিল পরিবারে। মূলত অভাবের কারণেই এই দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ সকালে সুজয় ও বসুমতির শিশু সন্তানের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘরের দরজা খুলে দেখেন সুজয় ঘরের চালে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন। আর বসুমিতার দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। বসুমতি বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ঘটনা দেখে স্থানীয়রা দ্রুত বারুইপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup