নন্দীগ্রাম হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক রোগী। আর তারপরই মারা যান তিনি। তবে আত্মহত্যা করতেই তিনি এই ঝাঁপ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে নন্দীগ্রাম হাসপাতাল থেকে রোগীর আত্মহত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ একজন রোগী সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে এমন কঠিন পথ বেছে নিলেন! অথচ কেউ দেখতে পেলেন না! আজ, বুধবার সকালে নন্দীগ্রাম হাসপাতালের এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত রোগীর নাম গুরুপদ পাত্র (৩০)। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম ৪ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার পারুলবাড়ি গ্রামে। গত সোমবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এই যুবক। তখন তাঁকে ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম হাসপাতালে। এখানের চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার চিকিৎসক, নার্সদের নজর এড়িয়ে ছাদে উঠে যান যুবক গুরুপদ। আর সেখান থেকে মারণঝাঁপ দেন তিনি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এমন রোগী হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও ঢিলেঢালা ভাব ছিল বলেই পরিবারের অভিযোগ। যুবক গুরুপদের কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন ছিল। সেটা হাসপাতাল করেনি বলে অভিযোগ। এমনকী সবার নজর এড়িয়ে কীভাবে তিনি ছাদে উঠলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যিনি বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁকে আরও নজরদারির মধ্যে রাখা উচিত ছিল বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবারের কেউ কেউ।
কেন বিষ খেয়েছিল এই যুবক? পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তার জেরে যুবক গুরুপদ বিষপান করেছিলেন। এই গুরুপদ এবং তাঁর স্ত্রী থাকতেন হলদিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি নন্দীগ্রামে নিজেদের বাড়িতে এসেছিলেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের ঝগড়া হতেই বিষপান করেন গুরুপদ। তখন তাঁকে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে।