মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত হলেন খোদ পুলিশকর্মী। চলন্ত বাসে মদ্যপ অবস্থায় তারা হই–হুল্লোর করছিল। তাতে অন্যান্য যাত্রীরা অতিষ্ট হয়ে উঠছিলেন। একইসঙ্গে চলছিল অনর্গল গালিগালাজ। এসবেরই প্রতিবাদ করেছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। ওই যুবকদের মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরোচ্ছিল। চলন্ত বাসেই তারা সিগারেট ধরিয়ে ফেলে। তাতে চরমে ওঠে অশান্তি। এই কাজের প্রতিবাদ করতেই মদ্যপ যুবকরা ব্যাপক মারধর করে ওই পুলিশ কর্মীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পুলিশ কর্মীর নাম মহম্মদ শাহজাহান। তিনি বাড়ি ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে মদ্যপ যুবকরা ঝামেলা করছিল। ওখানেই তারা সিগারেট ধরিয়ে নেওয়ায় বাকি যাত্রীদের অসুবিধা হচ্ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন শাহজাহান। তখন তাঁকে মেরে নাক–মুখ ফাটিয়ে দেয় মদ্যপদের দল। তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আক্রান্ত পুলিশ কর্মী শাহজাহান বলেন, ‘আমি রবিবার দুপুরে ডিউটি সেরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে এক আত্মীয়কে দেখতে আসি। তারপর হাসপাতালে আত্মীয়কে দেখে বোলপুর থেকে বালিগুনী ফিরছিলাম। তখন চলন্ত বাসে সাঁওতা গ্রামের কিছু মদ্যপ যুবক অশান্তি করছিল। রীতিমতো গালাগালি করছিল। আমি তার প্রতিবাদ করলে মদ্যপ যুবকরা আমার উপর চড়াও হয়। আর মেরে নাক–মুখ থেকে রক্ত বের করে দেয়।’ এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
জানা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীকে মারধর করেই মদ্যপরা ক্ষান্ত হয়নি, ভেঙ্গে দেওয়া হয় তার চশমা, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র। আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মী শাহজাহান। ঘটনার কথা তৎক্ষণাৎ নানুর থানায় জানান তিনি। নানুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তাঁর। চিকিৎসা করানোর পর নানুর থানা যান ওই পুলিশ কর্মী।