আবার চর্চায় উঠে এলো শীতলকুচি থানা। এবার থানা চত্বর থেকেই উদ্ধার হল পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ। যা নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল শীতলকুচি থানার অন্দরে। খবর পেয়ে শীতলকুচি থানায় ছুটে আসেন মাথাভাঙা মহকুমা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পি শেরপা। তিনি ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহটিকে নিচে নামানোর ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থলেই তখন ওই পুলিশকর্মীর দেহ শনাক্ত করেন তার শ্যালক অজিত বর্মন। দেহটিকে নামানোর পর ওই পুলিশকর্মীর অঙ্গ–প্রত্যঙ্গ দেখেন ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই। যদিও এই ঘটনার কারণ হিসেবে কোন কিছুই বলেননি ম্যাজিস্ট্রেট পি শেরপা।
বৃহস্পতিবার শীতলকুচি থানার পেছনের বাগান থেকে উদ্ধার হয় ওই পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন নৃপেন বর্মন নামে ওই পুলিশকর্মী। বাড়ি শীতলকুচি এলাকাতেই। ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অজিত বর্মন বলেন, ‘জামাইবাবু নৃপেন বর্মন বাড়িতে খুব শান্তভাবে বসবাস করতেন। বাড়িতে কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আজকে কেন তার এই সমস্যা হলো সেটা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত না হলে বোঝা যাবে না।’
সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনের সময় এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। এখন তা নিয়ে সিআইডি তদন্ত করছে। এই বিষয়ে তিনি বেশকিছু তথ্য জানতে পেরেছিলেন। যার জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি হচ্ছিল। সেখান থেকে মুক্তি পেতেই এই আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পনা করে সরিয়ে দেওয়া হলো? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তার পকেটে একটি প্যাকেটে কাগজের চিরকূট নজরে আসে পুলিশের। তবে ওই চিরকুটে কি লেখা আছে তা জানানো হয়নি। এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হোক বলে দাবি করেন পুলিশকর্মীর শ্যালক অজিত বর্মন। শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, একজন পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।