এগরার বিস্ফোরণের ঘটনার পরেও নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে কিছুটা হাত গুটিয়ে বসেছিল পুলিশ। এমনটাই মত বিরোধীদের। কিন্তু বজবজে বাজির গোডাউনে বিস্ফোরণের পরে গোটা বাংলা জুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ। আর তারপরই শুরু হয় অভিযান। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় মাজদিয়া বাজার এলাকায় সোমবার রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর একটি দোকান থেকে সব মিলিয়ে ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম নিষিদ্ধ বাজি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।
এই ঘটনায় পুলিশ প্রশান্ত অধিকারী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে নানা চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি মাজদিয়া বাজারে একটি দোকান চালান। সেখান থেকেও নিষিদ্ধ বাজি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু একজন শিক্ষক হয়ে তিনি কীভাবে এই ধরনের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি প্রশান্ত ২০০৯ সালে স্থানীয় কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বর্তমানে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি শুভদীপ সরকার জানিয়েছেন, একটা সময় তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জিএস ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই আমরা জানি। কারণ তার ফেসবুক প্রোফাইলে গেলে দেখা যায় তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে স্থানীয় এলাকায় বর্তমানে তাকে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে দেখা যায় না।
তবে এভাবে নিষিদ্ধ বাজি কারবারের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকের নাম জড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শোরগোল পড়েছে। জেলার শিক্ষামহলেও এনিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি যে এই কারবার করেন তা জেলা শিক্ষা দফতর জানত কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে শুধু নদিয়া নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।