রায়গঞ্জে অধ্য়ক্ষকে হেনস্থার ঘটনায় নাম জডি়য়েছিল এক তৃণমূল নেতার। এরপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। এবার কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়েই অধ্য়াপককে চরম হেনস্থা। এমনকী তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় ফের শিক্ষাঙ্গনে দুবৃত্তরাজের অভিযোগ সামনে এসেছে। ওই অধ্যাপক পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি আসলে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁকে কার্যত বিজেপির দালাল আখ্য়া দিয়ে চরম হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে সিঁড়ির কাছে ঘাড় ধরে ধাক্কাও দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, গত মে মাসের ১০ তারিখে অধ্যক্ষ নিখিল চন্দ্র রায় রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করেছিলেন। এখনও সেই সাসপেনশন চলছে বলে খবর। তবে তার মধ্য়েই রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এর আগে রেজিস্ট্রারের চেম্বারে তালা ঝোলানো হয়েছিল। সেই তালাও ভেঙে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এদিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছিল। এদিন উপাচার্যের ঘরেও তালা ঝোলানো হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই সময় উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্য়াপক পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন ভিসির সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় কর্মচারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের দাবি উপাচার্য বহিরাগত নিয়ে এসেছেন।
এদিকে ওই অধ্যাপকের দাবি, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আমি এসেছিলাম। কিন্তু আমায় হেনস্থা করা হল।
এদিকে ভিসির দাবি, সাসপেন্ড হওয়া রেজিস্ট্রারের আগের ঘর সিল করে রেখেছি। সেই ঘরের তালা ভেঙে তিনি ঘরে ঢুকে বসেছেন। তাদের মধ্যেই কেউ কেউ এসে আমার ঘরে তালা ঝুলিয়েছেন। আমি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অ্য়াক্ট অনুসারে কাজ করছি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের দাবি, ইসি মিটিং অবৈধ। তার উপর কেন সেটা ভার্চুয়ালি করা হচ্ছে। কেন তালা দেওয়া হল? তিনি বলেন, আমাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের দাবি তিনি মাথায় রাখেন না।
এদিকে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।