'আমার বড় পুত্রবধূ এবং দুই নাতি বিধায়কের নাম করে আমার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।' সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নামে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে নালিশ করা এই চিঠিতে শোরগোল পড়ে গেল। কে বা কারা ওই চিঠি পাঠিয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে বিধায়ক মানগোবিন্দ জানান, 'আমার নামে অপপ্রচার করার জন্য এসব করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।'এই ঘটনায় তদন্ত করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
ভাতারের খেরুর গ্রামের বছর ৮৮-এর বৃদ্ধা অলকা সামন্তের নামে সম্প্রতি ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। চিঠিতে তিনি দুই নাতি এবং বড় পুত্রবধূর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বিধায়কের জোরেই তাঁরা এইসব করছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে আছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর তিনি বড় ছেলের কাছেই থাকছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে,'আমার বড় পুত্রবধূ এবং দুই নাতি আমার উপর নির্যাতন চালায়। এমনকী বিধবা ভাতার টাকাও তারা কেড়ে নেয়। এই সমস্ত তারা করে বিধায়ক মানগোবিন্দের নাম করে।' শুধু তাই নয় চিঠি দিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি চেয়েছেন ওই বৃদ্ধা।
বিধায়কের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যাওয়ার পরেই ভাতার থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেয় নবান্ন। ওই চিঠিটিও ভাতার থানার পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বুধবার বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে এই চিঠি তাঁর লেখা নয় বলেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাহলে কে বা কারা এই চিঠি দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিধায়ক মানগোবিন্দ দাবি করেছেন,' এভাবে ভুয়ো চিঠি পাঠিয়ে আমার নাম খারাপ করা হচ্ছে। ' এই ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের একাংশের।