নদিয়ার নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের মায়াপুর বামুনপুকুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রাজকুমার দে। সম্প্রতি একেবারে টোকেন নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে। এরপর সেখান থেকে তাঁকে বলা হয় তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুনীল বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে বলা হয়। পাশাপাশি ভ্য়াকসিন নিতে গেলে তাঁকে ফের বৈধ টোকেন সংগ্রহ করতে হবে বলেও সেন্টার থেকে বলা হয়। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে এনিয়ে তিনি তৃণমূল নেতা সুনীল বিশ্বাসের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। কিন্তু রাজকুমার দের দাবি, তাঁর সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতা সেদিন দুর্ব্যবহার করেছিলেন। এদিকে সেদিন যে স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন সেন্টারে ছিলেন বলে শংসাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আবার কয়েকদিন দিন ধরেই মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে ছুটিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী কিভাবে ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে?
রাজকুমার দে বলেন, ভ্যাকসিন পাইনি, অথচ আমার নামে সার্টিফিকেট বেরিয়ে গিয়েছে। গ্রামে গঞ্জে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে। ব্লক প্রশাসনকেও জানানোর চেষ্টা করেছি। আমার কথা শুনে ফোন কেটে দেন। লাইনে দাঁড়ানোর পর যখন ভ্যাকসিন নিতে গেলাম ওরা বলল ছোট স্লিপ দরকার। পরে ওখান থেকে ফিরে আসার পর বিকাল ৪টের সময় দেখলাম আমার ভ্যাকসিন হয়নি। অথচ আমার নামে সার্টিফিকেট চলে এসেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার খবর ছিল না। এনিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।