শিলিগুড়ির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমলজ্য়োতি বোস। কুপন কেটেও ভোগ পাননি তিনি। এমনটাই অভিযোগ তাঁর। আর পুজোর দিন নিজের হকের ভোগ না পেয়ে একেবারে পুলিশের কাছে নালিশ জানালেন প্রৌঢ়। আসলে অত সহজে নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের পুজোতে অঞ্জলি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভোগের জন্য তিনটি কুপন কেটেছিলেন তিনি। আর পাঁচজনের মতোই আশায় ছিলেন টোকেন দেখালেই ভোগ মিলবে। এরপর তিনি বিকালে টোকেন হাতে ভোগ নিতে যান। আর তখনই বিপত্তি।
তাঁর অভিযোগ একটি টোকেনের বিনিময়ে তাঁকে ভোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাকি দুটি টোকেনের বিনিময়ে ভোগ পাননি তিনি। এরপরই এনিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দুজন পুজো উদ্যোক্তা অন্য দুটি ভোগের প্যাকেট ওই প্রৌঢ়ের হাতে তুলে দিতে চান। কিন্তু তাঁর সাফ কথা, অন্যের ভোগ আমি কেন নেব? এনিয়ে রীতিমতো তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। এরপরই একেবারে সটান ১০০ ডায়ালে ফোন করেন ওই প্রৌঢ়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আসে পুজো মণ্ডপের কাছে। তারাও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ কর্মীরা সকলকে বোঝানোর পরে দুটি প্যাকেটের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর কিছুটা হলেও স্বস্তি পান প্রৌঢ়। এতক্ষণের রূদ্ধশ্বাস ঘটনায় যবনিকা পড়ে অবশেষে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুজো উদ্যোক্তা থেকে পুলিশ কর্মীরা।