চোর সন্দেহে এক নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা এলাকার। একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে কয়েকজন বেধড়ক মারধর করছেন। পরে তাকে রাজগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে একটি চা কারখানার নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ ওই নিরাপত্তারক্ষীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে কারখানার ম্যানেজার শুভঙ্কর মল্লিক মারধর করেন বলেন বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন তাকে মারধর করে। কারখানার এক শ্রমিক সেই মারধরের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এবং পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এদিকে, পুলিশের হাতে নিরাপত্তারক্ষীকে তুলে দেন ম্যানেজার।
কিন্তু, কী কারণে এই মারধর? চা কারখানার ম্যানেজার শুভঙ্করের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে চা কারখানায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। তারা জানতে পেরেছেন এই চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ওই নিরাপত্তারক্ষী। তিনি নাকি চোর ঢুকিয়ে কারখানায় চুরিতে সাহায্য করছেন। সেই খবরটি পাওয়ার পরে নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে বলে তার দাবি। যদিও চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিরাপত্তারক্ষী। এই অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমানে টোটো চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন এলাকাবাসীরা। তাদের অভিযোগ, টোটোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থেকে শুরু করে ব্যাটারি একের পর এক চুরি হয়ে যাচ্ছিল। গতকাল ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। এর পরেই তারা তাকে ধরে ফেলে। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে মারধর করে এবং পরে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।