এবার বৃদ্ধা মাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। প্রায়ই মানসিক–শারীরিক অত্যাচার করতে ছেলে এবং বউ বলে অভিযোগ। এবার তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেল। এই বৃদ্ধা মাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগে শনিবার সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মৃত বৃদ্ধার ছেলে–বউমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে বালুরঘাটে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানের বটতলা এলাকার বাসিন্দা গোপাল রায়। কয়েকবছর আগে শিল্পী রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় গোপাল রায়ের। গোপালের মা অর্থাৎ শিল্পীর শাশুড়ি হলেন সুভদ্রা রায়। এটাই ছোট সংসার। তাও প্রায়ই এই বাড়ি থেকে মায়ের উপর ছেলের চিৎকার শোনা যেত বলে প্রতিবেশী পরিবারগুলির দাবি। ছেলে গোপাল বিয়ে করার পর থেকে এটাই ছিল রোজনামচা।
স্বামী–স্ত্রী মিলে বৃদ্ধা সুভদ্রা রায়ের উপর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়িটা পুরো নিজেদের আয়ত্তে আনতে রোজই নানা ঝামেলা হতো। এই পরিস্থিতিতে একদিন বৃদ্ধা মাটিতে পড়ে যান। তার জেরে কোমরে চোট পেয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন বৃদ্ধা সুভদ্রা রায়। তার পরেও অশান্তি এতটুকু কমেনি বলে উঠেছে অভিযোগ। এই নিয়ে বৃদ্ধা প্রতিবেশীদের কাছে চোখের জলও ফেলতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে একটি বৃদ্ধার অগ্নিদগ্ধ দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। সেটাও বাড়ি থেকে বহু দূরে। কিন্তু বৃদ্ধাকে দেখে চিনতে পারেন একজন প্রতিবেশী। তিনিই থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা বিষয়টি জানতে পারে। বৃদ্ধার অগ্নিদগ্ধ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে নামতেই প্রশ্ন ওঠে, শয্যাশায়ী বৃদ্ধা এতদূরে এলেন কীভাবে? তখনই সন্দেহ হয় ছেলে এবং বউয়ের উপর। আজ, শনিবার সকালে ওই বৃদ্ধার ছেলে–বউমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।