বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের জেরে আত্মহত্যা করেছে ছাত্র বলে অভিযোগ উঠল। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আবার নেপথ্যে অন্য রহস্য আছে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ ছাত্রের দেহ রেললাইনের পাশ থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর রক্তাক্ত দেহটি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় জিআরপিএফ।
ঠিক কী ঘটেছে বাঁকুড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম সুপ্রকাশ বেরা (২০)। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার ধনেশ্বরপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্র। তার রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে রেললাইনের ধারে। ট্রেনের ধাক্কায় ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও তা মানতে নারাজ মেধাবী ছাত্রের বাবা স্বদেশকান্তি বেরা।
ঠিক কী দাবি পরিবারের? এই বিষয়ে মৃত ছাত্র সুপ্রকাশ বেরার বাবা স্বদেশকান্তি বেরা বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে আমার ছেলের উপর তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা অত্যাচার করেছিল। এমনকী তখন মাথার চুল কেটে নেড়া করে আমার ছেলেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার মেরেই ফেলা হল তাকে। আমার ছেলের মৃত্যু কোনভাবেই স্বাভাবিক নয়।’
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, রেল পুলিশ দেহ শনাক্ত করে খবর দেয় স্বদেশ বেরাকে। শুক্রবার তরতাজা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ছাতনা থানার পুলিশের সাহায্যে ছেলের দেহ নিয়ে বিশ্ববিদ্যায়লের ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। ছাতনা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিএনটি সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘ওই ছাত্রের মৃত্যু অস্বাভাবিক।’