মালদার মঙ্গলবাড়ি ব্রিজের উপর দাঁড়়িয়েছিল ছাত্রীটি। পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম। একটু আনমনা। কিছু যেন ভাবছিল। আচমকাই ব্রিজের উপর থেকে মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দেয় ওই ছাত্রী বলে দাবি স্থানীয়দের। এদিকে সেই সময় নদীতে কয়েকজন স্নান করছিলেন। তাঁরা দেখেন ব্রিজ থেকে কেউ একজন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। আর দেরি করেননি তারা। নদীতে সাঁতরে ছাত্রীকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন তাঁরা। মূলত তাঁদের তৎপরতায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পাড়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছে। তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন সে ওই ব্রিজ থেকে এভাবে ঝাঁপ দিল মাঝ নদীতে? এভাবে স্কুলের পোশাক পরে আত্মহত্যার চেষ্টাকে ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিকে ছাত্রীর কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ তার নাম ও ঠিকানা পেয়েছে। সে পুরাতন মালদার নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্পের বাসিন্দা। মালদারই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে সে। তার বাবা বিএসএফে কর্মরত। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওই ছাত্রী সেতুর উপর কিছুক্ষণ পায়চারি করছিল। এরপরই ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেয়। কয়েকজন মোবাইলে তার ডুবতে থাকার ছবিও তুলেছেন। আপাতত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক ১৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রী, চাইছেন সকলেই।