রাত পোহালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার আগে মেয়েটির হাতে আসেনি অ্যাডমিট কার্ড। ফলে পরীক্ষার্থী বুঝতে পারে তার এই বছর পরীক্ষা দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে হতাশায় আত্মহত্যারও চেষ্টা করে ওই পরীক্ষার্থী। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা এলাকায়। আর তখনই খবর পেয়ে পদক্ষেপ করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী করলেন অভিষেক? জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম মীরজানা খাতুন। সে ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুল থেকে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই খবর জানতে পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষা দফতরকে আবেদন করেন। তারপরই শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ওই স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অ্যাডমিট কার্ড যাতে ছাত্রীটি পেয়ে যায় তার ব্যবস্থাও করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মীরজানা খাতুনের বাবা সালামত পেশায় দিনমজুর। মীরজানা জানতে পারে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। কিন্তু বন্ধুদের এসে গিয়েছে। তখনই সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হতে চায় সে। কিন্তু সেটা দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আটকান। এই খবর পৌঁছয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দ্রুত পদক্ষেপ করেন তিনি।
এই ঘটনার পর সাংসদের নির্দেশে এসডিপিও মিতুন দে খাতা, ডায়েরি, কলম এবং ফল নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। ছাত্রীর বাবা সালামত বলেন, ‘সাংসদ যেভাবে উদ্যোগী হলেন তার জন্য আমরা ভীষণ খুশি। তাঁর এই উদ্যোগে নতুন করে আশার আলো দেখছে আমার মেয়ে মীরজানা৷’