ইএফআর জওয়ানদের গুলি চালনার অনুশীলন চলছিল। সেই গুলিই ছিটকে লেগে আহত হয়েছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। তার কাঁধে গুলি লেগেছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্রামীণ থানার অন্তর্গত টাঙ্গাসেল এলাকার ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ির কাছেই জল আনতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেই সময় তপ্ত গুলি তার শরীরে ঢুকে যায়। প্রচন্ড যন্ত্রনায় চিৎকার করে ওঠে সন্ধ্যারাণী মাহাতো নামে ওই ছাত্রী। তাকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিজন, প্রতিবেশীদের দাবি, বার বার একই ঘটনা হচ্ছে। এনিয়ে বলাও হয়েছিল পুলিশ, প্রশাসনকে। কিন্তু তারা কোনও কথা কানে তোলে না।
ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, শালুয়াতে ফায়ারিং চলছিল। সেখান থেকে গুলি ছিটকে এসে মেয়ের হাতে লাগে। সে জল আনতে বাইরে এসেছিল। তখনই হাতে গুলি লাগে। এর আগে একজন মহিলার পায়ে গুলি লেগেছিল। গরু, ছাগলের শরীরেও লেগেছিল। বার বার এনিয়ে বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ছাত্রীর বাবা স্বপন মাহাতো বলেন, ইএফআর এর গুলি চালানোর ট্রেনিং হচ্ছিল। সেই সময় গুলি এসে লাগে। এর আগেই আমার দুটো গরুর শরীরে গুলি লেগেছিল। আজ আমার মেয়ের কাঁধে গুলি লাগে। আমার মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ক্যাম্প থেকে আমার বাড়ি প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে। সেখানেই গুলি লাগে মেয়ের শরীরে। অপর এক প্রতিবেশী বলেন, একবার এক প্রসূতির শরীরে গুলি লেগেছিল। জল আনতে গেলে কলসী ফুটো হয়ে যায়। কতজনের শরীরেও গুলি লেগেছে। ওদেরকে বলেও কিছু হয়নি। তবে ইএফআরএর তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।