বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > খাঁচার ভেতর ঘুমোচ্ছিল কুলতলির বাঘ, পা হড়কে জখম বনকর্মী

খাঁচার ভেতর ঘুমোচ্ছিল কুলতলির বাঘ, পা হড়কে জখম বনকর্মী

গত কয়েকদিন ধরেই বাঘ ধরার জন্য চেষ্টা করছিলেন বনকর্মীরা

বনদফতর সূত্রে খবর, পশু চিকিৎসকরা ও বনকর্মীরা বাঘটিকে পরীক্ষা করে দেখবেন।

বাঘ ধরার জন্য ৬দিন ধরে কম পরিশ্রম করেননি বনদফতরের কর্মীরা। ড্রোন, পটকা, জাল, খাঁচা সহ মজুত করা হয়েছিল নানা যন্ত্রপাতি। কিন্তু বাঘ কিছুতেই কুলতলির জঙ্গল থেকে বের হচ্ছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার ঘুমপাড়ানি গুলি করে সেই বাঘকেই খাঁচায় ভরতে পেরেছেন বনদফতরের কর্মীরা। বাঘের শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। কিন্তু বাঘ ধরার টিমের অন্যতম সদস্য আহত হয়েছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে বাঘটিকে যে বাগে আনা সম্ভব হয়েছে এটাই তৃপ্তির বনদফতরের কাছে।

বাঘ ধরার জন্য ৬দিন ধরে কম পরিশ্রম করেননি বনদফতরের কর্মীরা। ড্রোন, পটকা, জাল, খাঁচা সহ মজুত করা হয়েছিল নানা যন্ত্রপাতি। কিন্তু বাঘ কিছুতেই কুলতলির জঙ্গল থেকে বের হচ্ছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার ঘুমপাড়ানি গুলি করে সেই বাঘকেই খাঁচায় ভরতে পেরেছেন বনদফতরের কর্মীরা। বাঘের শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। কিন্তু বাঘ ধরার টিমের অন্যতম সদস্য আহত হয়েছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে বাঘটিকে যে বাগে আনা সম্ভব হয়েছে এটাই তৃপ্তির বনদফতরের কাছে।

|#+|

কিন্তু কীভাবে জখম হলেন ওই ব্যক্তি? স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঘটিকে খাঁচায় ভরার পরে সেটিকে বোটে তোলা হচ্ছিল। সেই সময় কোনওভাবে মঙ্গল সামন্ত নামে ওই ব্যক্তির পা হড়কে যায়। এর জেরেই তিনি পায়ে চোট পান। এরপর থেকেই ভালো করে দাঁড়াতে পারছেন না ওই ব্যক্তি। 

বনসহায়ক হিসাবে কাজ করেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে বাঘ ধরতে নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজে লেগে পড়েছিলেন। জোড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে ধরা পড়েছে সেই বাঘ। মঙ্গল সামন্ত বলেন, খাঁচাটা নৌকায় তোলা হচ্ছিল। আমি পেছন থেকে ঠেস দিয়েছিলাম। হঠাৎ করেই পা পিছলে গেল। তবে বাঘটি সুস্থ রয়েছে। এদিকে বনদফতর সূত্রে খবর, পশু চিকিৎসকরা ও বনকর্মীরা বাঘটিকে পরীক্ষা করে দেখবেন। তবে আপাতত জানা গিয়েছে বাঘটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ। বাঘটির মধ্য়ে ঘুম ঘুম ভাব রয়েছে। তাকে খাঁচার উপর থেকেই জল দেওয়া হচ্ছে। 

 

বন্ধ করুন