ভ্যানে করে এক যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমবাগানে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। রাতের অন্ধকারে সেখানেই ফেলে পালাল অপরাধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ এলাকার পেট্রাপোল সীমান্তে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ মানুষ–সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবতীর বাড়ি বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। দিনমজুর পরিবার। সন্ধ্যায় আত্মীয় বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল যুবতী। পরিবারের অভিযোগ, বনগাঁ থানার সামনে থেকে এক ভ্যানচালকের সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই ভ্যানচালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ভ্যানে তোলে। তারপর ওই ভ্যানচালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি জঙ্গলে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে যুবতীকে কাঁদতে দেখা যায়। তখন স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পেট্রাপোল থানায় খবর দেয়। পুলিশ ওই যুবতীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দ্রুত ওই ভ্যানচালককে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে শনিবার সকালে যুবতীর বাড়িতে যান বিজেপি, সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গোপাল শেঠ আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা–সহ সব সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুলিশকে তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা বলেছি।’ বিজেপিরপক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। সিপিআইএমের দাবি, বনগাঁ শহরে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।