উত্তরপাড়ার বাসিন্দা রিঙ্কু চক্রবর্তী। তিনি তাঁর একটি ঘর ভাড়া দিয়েছেন। সেই ঘরে ভাড়া থাকেন কৃষ্ণ প্রসাদ সাউ। এদিকে ওই ঘরেই একেবারে বিরাট গর্ত খুঁড়ে ফেলেছেন ওই ভাড়াটিয়া। রিঙ্কু চক্রবর্তীর দাবি, তিনি কিছুদিন বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগেই ভাড়াটিয়া ঘরের মধ্যেই বিরাট গর্ত খুঁড়ে ফেলেছেন।
এমনটাও হয়। কেন ওই ভাড়াটিয়া এই কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। উত্তরপাড়ার ওই ভাড়াটিয়ার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই ঘরে একেবারে এক মানুষ সমান গর্ত খুঁড়ে ফেলেছেন ভাড়াটিয়া। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়। এদিকে বাড়ির মালিকের দাবি, ওই ভাড়াটিয়ার মনে হয় কোনও বদ মতলব রয়েছে। সেকারণেই তিনি এভাবে ঘরের মধ্য়ে গর্ত খুঁড়েছেন। উত্তরপাড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাড়িতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শোরগোল পড়েছে।
বাড়ির মালিকের দাবি, আমাকে এনিয়ে কিছুই জানানো হয়নি। ঘরের মধ্য়ে জোর করে ঢুকে দেখতে পাই বিরাট গর্ত খোঁড়া হয়েছে ওই ঘরের মধ্যে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনও অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।কিন্তু কী বলছেন ভাড়াটিয়া?
ভাড়াটিয়ার দাবি, পিজির এক চিকিৎসক নাকি তাঁকে বলেছেন বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে বসে থাকতে। সেকারণেই তিনি ঘরের মধ্য়ে গর্ত খুঁড়েছেন। কিন্তু গর্ত খুঁড়ে বসে থাকলে কী হয়?
কৃষ্ণপ্রসাদের দাবি, আসলে আমার কোমরের সমস্যা রয়েছে। সেকারণেই চিকিৎসক জানিয়েছেন বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে বসে থাকতে। বাস্তবিকই অবাক করা কাণ্ড! তবে চিকিৎসক আদৌ বলেছেন নাকি সবটাই মনগড়া তা নিশ্চিত নয়। এদিকে ওই ভাড়াটিয়ার কোমরে যন্ত্রণা হয়। তিনি নানা জায়গায় তার চিকিৎসা করিয়েছেন। এরপর তিনি পিজিতেও কিছুদিন চিকিৎসা করান। সেখানেই নাকি তাঁকে বলা হয়েছে বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে বসে থাকতে। তবে বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই ঘর পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। বাস্তবে এই গর্ত খোঁড়ার পেছনে অন্য কোনও বদ মতলব রয়েছে কিনা সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে ওই ব্যক্তির ছেলে তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তিনিও বাবার এই কীর্তির ব্যাপারে ঘুণাক্ষরেও জানেন না বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি কিছুদিন বাইরে রয়েছেন। তার মধ্যে বাড়িতে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। এদিকে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ওই ব্যক্তির পক্ষে বাড়িতে এত বড় গর্ত করা সম্ভব নয়। বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে তিনি এই কীর্তি করেছেন।