বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > প্রচন্ড তেষ্টা পেয়েছিল, জল ভেবে ঢকঢক করে কীটনাশক খেল হেমতাবাদের শিশু, তারপর…

প্রচন্ড তেষ্টা পেয়েছিল, জল ভেবে ঢকঢক করে কীটনাশক খেল হেমতাবাদের শিশু, তারপর…

জল ভেবে কোনটা খাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি (Pixabay)

বাসিন্দাদের দাবি, এই কারণেই কীটনাশক জাতীয় জিনিস বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখার জন্য় বার বার বলা হয়। কিন্তু অনেকেই সেকথা শুনতে চান না। শিশিটি অন্য় জায়গায় থাকলে এত বড় বিপর্যয় হত না।

জল ভেবে কীটনাশক খেয়ে ফেলল আড়াই বছরের এক শিশু। ভয়াবহ ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোয়াটলা গ্রামের ঘটনা। এদিকে কীটনাশক খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশু। কীটনাশকের ঝাঁঝালো স্বাদ বোঝার পরেই সে ফেলে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আপাতত রায়গঞ্জ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা?

সূত্রের খবর,ওই শিশুটির অবস্থা আপাতত আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে। একেবারে মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে শিশুটি। ওই শিশুর নাম মানিক টুডু। তার বয়স ২ বছর ৭ মাস। ওই শিশুর মা অন্যান্যদিনের মতো রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এদিকে তার বাবা ভিনরাজ্যে কাজ করেন। বারান্দাতে কীটনাশকের শিশি রাখা ছিল। এই কীটনাশক জমিতে দেওয়া হয়। এদিকে প্রচন্ড জলতেষ্টা পেয়েছিল শিশুর। এরপর সে দেখে বারান্দায় একটা শিশি রাখা রয়েছে। তার মধ্যে তরল কীটনাশক রাখা ছিল। সেটা বুঝতে পারেনি শিশু। সে ওই কীটনাশকটির ছিপি খুলে ঢকঢক করে খেয়ে ফেলে। এদিকে তার গলায় চলে যায় কীটনাশকটি। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি। প্রচন্ড কাঁদতে শুরু করে। লুটিয়ে পড়ে শিশুটি। ছুটে আসেন বাড়ির অন্য়ান্যরা। 

এদিকে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হেমতাবাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে ঘটনার খবর শুনেই শিশুর বাবা নৃপেন টুডু দিল্লি থেকে রওনা দিয়েছেন। গোটা ঘটনায় প্রচন্ড উদ্বেগে মধ্য়ে রয়েছে শিশুর পরিবার। 

বাসিন্দাদের দাবি, এই কারণেই কীটনাশক জাতীয় জিনিস বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখার জন্য় বার বার বলা হয়। কিন্তু অনেকেই সেকথা শুনতে চান না। শিশিটি অন্য় জায়গায় থাকলে এত বড় বিপর্যয় হত না। এদিকে ফুটফুটে শিশুটির এই ঘটনায় প্রতিবেশীরাও ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয় শাসকদলের নেতৃত্ব ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে বলে খবর। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন