বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গেল এক তৃণমূল কর্মীর। বারুইপুরের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই কর্মী। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় হামিরুদ্দিন সর্দারের বাড়িতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আশেপাশের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। তখনই বাড়ির ভিতর থেকে ৫-৬ বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ কর্মীরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। ঘটনায় জখম হন ফারুক সর্দার নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর।
পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বোমা বাঁধার সময়ই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। বাড়ির মালিক হামিরুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃত ফারুক সর্দার তখন বাড়ির ভিতর ঠিক কী করছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে শেষ সীমানায় সর্দারপাড়া। চারপাশে সেভাবে জনবসতি নেই। নির্জনতার কারণে তাই এই বাড়িকেই দুষ্কৃতীরা বেছে নিয়েছিল বোমা মজুতের জন্য। উল্লেখ্য, রামপুরহাটের ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো গোটা রাজ্য জুড়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। তারই মধ্যে বোমা বিস্ফোরণে গোটা বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে গেল।