ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশের। মৃত ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর নাম সোমনাথ রায়। তিনি ট্রাফিক পুলিশের হোমগার্ড ছিলেন, বয়স ৪০-এর কাছাকাছি। আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেরিয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন ওই হোমগার্ড। সেই সময় আচমকা তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা রাস্তায় জড়ো হলে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারল বেপরোয়া ট্রাক, মৃত্যু ASI, কনস্টেবলের
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনকার মতোই ডিউটি করছিলেন সোমনাথ রায়। তিনি হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা। উলুবেরিয়া ট্রাফিক গার্ডের অফিসে কর্মরত। উলুবেরিয়া শ্রীরামপুর মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার ডিউটি করছিলেন সোমনাথ। সেই সময় একটি চলন্ত লরি এসে তাঁকে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে রাস্তা থেকে অনেকটা জুড়ে ছিটকে পড়েন সোমনাথ। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এদিকে, ঘাতক লরিটি ততক্ষণে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা সোমনাথ বাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলে পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে সোমনাথকে উলুবেরিয়া শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসা তাঁকে মৃত প্রশ্ন করেন। সোমনাথের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারে। জানা গিয়েছে, ধাক্কা মরার পর ঘাতক ট্রাকটি কোলাঘাটের দিকে চলে যায়। এখনও পর্যন্ত গাড়ি অথবা চালককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী বাঙ্গালিয়া জানিয়েছেন, কর্তব্যরত অবস্থায় ওই ট্র্যাফিক হোমগার্ডকে ট্রাকটি ধাক্কা মারে। তাতে তিনি মারা গিয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক লরিটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। কর্তব্যরত ট্রাফিক গার্ডের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা অভিযুক্ত লরিচালকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হোমগার্ডের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে তার বাড়িতে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।