বিশ্বকর্মা মূর্তি বিসর্জন দিতে গিয়ে দুর্ঘটনা। গঙ্গায় তলিয়ে গেল আস্ত লরি। তাতে কোনওভাবে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন চালক থেকে শুরু করে বিসর্জন দিতে আসা লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুর লঞ্চ ঘাটের পাশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গঙ্গার তীরে ভিড় করেন প্রচুর মানুষজন।
আরও পড়ুন: জানেন বিশ্বকর্মার সন্তানদের পরিচয়? রামায়ণেও রয়েছে তাঁদের উল্লেখ
জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের জালান কমপ্লেক্সে দুটি বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই দুটি মূর্তি বিসর্জনের জন্য বুধবার দুপুরে আনা হয়েছিল শিবপুর লঞ্চ ঘাটে। ৬ চাকার একটি লরিতে করে দুটি মূর্তি আনা হয়েছিল। এরপর বিসর্জনের জন্য লরিটি গঙ্গার ধারে আনা হয়। তবে মূর্তি দুটি বড় হওয়ায় সেগুলি বিসর্জনের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই পুজো আয়োজকরা চালককে পিছন দিক করে গঙ্গার জলের কাছাকাছি লরিটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বলে। সেই মতো চালক লরিটিকে গঙ্গার জলের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রথম গিয়ারে রাখা হয়েছিল লরিটি। তাছাড়া যাতে পিছলে না যায় তার জন্য লরির চাকার নিচে কাঠ রাখা হয়েছিল। কিন্তু, কাদা থাকায় শেষ পর্যন্ত লরিটি পিছলে আস্তে আস্তে গঙ্গায় গভীর জলের দিকে চলে যায়।
এদিকে, লরিটিকে গভীর জলে যেতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিসর্জনে আসা লোকজন। জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই লরিতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২১ জন লোক ছিলেন। তখন তারা প্রাণ বাঁচাতে যে যেমন পারেন লরি থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বাঁচান। লরি চালকও লাফ দেন। চালক অখিলেশ কুমার সিং বলেন, ’মূর্তি বড় হওয়ায় আমাকে গঙ্গার জলের কাছে লরি নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। সেই মতো আমিও লরি নিয়ে গেলে সেটি কাদায় পিছিলে গঙ্গার গভীরে চলে যায়। আমি সাঁতার জানতাম না। তখন বিপদ বুঝে আমি লরি থেকে ঝাঁপ দিই।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিবপুর থানার পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও হাওড়া পুরসভার কর্মীরা। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লরিটি পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গঙ্গায় পড়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয়। ডুবুরিও নামানো হয়। তবে কোনও হতাহত হয়নি। পরে হাইড্রার সাহায্যে গঙ্গা থেকে তোলা হয় লরিটি।