কলকাতার নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে মনোজবাবু নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করার কিছুক্ষণের মধ্যে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদী দমনের নামে আদিবাসীদের নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। এমনকী তিনি ব্রিটিশদের থেকেও অত্যাচারী বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দুবাবু।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কলকাতার পুলিশ কমিশনার যাকে করেছেন তিনি সিপিএমের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন। অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় যিনি কুর্মি ও জনজাতিদের ওপর সব থেকে অত্যাচার করেছে। আমাকে যাতায়াত করতে দিত না। SP পশ্চিম মেদিনীপুর ছিল। একটা বেয়াদব। কলাইকুণ্ডায় একটা ঘর তৈরি করেছিল। সেখানে মাওবাদী তকমা লাগিয়ে আদিবাসী ও কুর্মিদের উলটো ঝুলিয়ে পেটাত। কত লাশ গায়েব করেছে। কত ছেলেকে থার্ড ডিগ্রি দিয়েছে। এরকম একটি অত্যাচারী লোক, যে ব্রিটিশের অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে তাকে কলকাতা পুলিশের নগরপালের পদে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
তিনি বলেন, ‘মনোজ ভার্মা সুশান্ত ঘোষদের কথায় চলত। রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রের আধাসেনা আর হার্মাদদের নিয়ে আদিবাসীদের ওপর অত্যাচার করত।’
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
বলে রাখি, বাম জমানায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরসহ জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে মাওবাদীদের উত্থান ঘটে। মাওবাদী দমন করার বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে মনোজ ভার্মাকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দেয় মহাকরণ। অভিযোগ ওঠে, বাম সরকারকে উচ্ছেদ করতে অতিবাম মাওবাদীদের অন্য রাজ্য রাজ্যে থেকে ডেকে এনেছে তৃণমূলই। এমনকী নন্দীগ্রাম আন্দোলনে মাওবাদীদের ভূমিকা স্বীকার করেছেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে।