হঠাৎ গুলির শব্দে কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম। ভয়ে কাঁটা সাধারণ মানুষ। পর পর গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে দিনের বেলায়। কে গুলি চালাচ্ছে? প্রশ্ন সকলের মনে। গ্রামে এমন ঘটনা আগে তো ঘটেনি। তাহলে এই এলোপাথারি গুলি কে চালাচ্ছে? জানা গিয়েছে, স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওর তথা স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাতে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। আর পাশে তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন অনেকেই। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শিখিয়ে দিচ্ছেন কেমন করে গুলি চালাতে হয়। এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ঘটনায় ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। গোটা ঘটনায় গ্রামে ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। আর চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্দুক হাতে ওই ব্যক্তি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর। নাম আরজাউল হক। কেন এমন ঘটনা তিনি ঘটালেন? তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভিডিও ভাইরাল হতেই আরজাউল হককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। তবে প্রধান তোরিনা খাতুনের স্বামী বাবর আলির সাফাই, ওই বন্দুকটি পাখি মারার বন্দুক। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘আমরা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসল কারণ কি।’
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘আইনের শাসন পশ্চিমবঙ্গে আছে। সেখানে কেউ অপরাধ করলে পুলিশ প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে। ফলে যিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি এখন গ্রেফতার হয়েছেন। এটা নিয়ে বিজেপির রাজনীতি করার কিছু নেই। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।’