আবার এক খাবারের ডেলিভারি বয়কে হেনস্থার শিকার হতে হল এক মহিলার হাতে বলে অভিযোগ। খাবার পৌঁছতে সামান্য দেরি হওয়ায় ওই ডেলিভারি বয়কে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকী তাঁর ফোন ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দেন। শারীরিকভাবেও তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। জ্যোমাটো ডেলিভারি বয়ের উপর এমন আক্রমণে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে? অভিযোগ, সোদপুরের পানশিলা আনন্দপল্লি এলাকায় রোজকার মতোই মঙ্গলবারও খাবারের অর্ডার নিয়ে বেরিয়েছিলেন উজ্জ্বল দাস নামে ডেলিভারি বয়। পর পর অর্ডার পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। তখনই সোদপুর কালীতলা মাঠ এলাকা থেকে একটি খাবারের অর্ডার আসে। তখন নির্দিষ্ট লোকেশনে খাবার নিয়ে পৌঁছন। সাইকেলে যেতে তাঁর একটু দেরি হয়ে যায়। এটাই তাঁর অপরাধ। তখন ফোনেই এক মহিলা গ্রাহক তাঁকে গালিগালাজ করেন। আর নির্দিষ্ট লোকেশনে পৌঁছানোর পর তাঁকে আরও ৫০০ মিটার দূরে অন্য লোকেশনে পানশিলা আনন্দপল্লীতে যেতে বলা হয়।
উজ্জ্বলের অভিযোগ, তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তবে পরে ওই লোকেশনে যেতে বাধ্য হন। ওখানে খাবারটি নেওয়ার পর ফের ওই মহিলা তাঁকে গালিগালাজ করে। খাবার দিতে এত দেরি কেন? এই প্রশ্ন তুলে তাঁর গালে সপাটে থাপ্পড় মারা হয়। এমনকী হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দেওয়া হয়। সাইকেলটির উপরও চড়াও হয়ে ক্ষতি করে দেওয়া হয়।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়ে উজ্জ্বল তাঁর সহকর্মীদের বিষয়টি জানান। রাতেই ঘোলা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ওই মহিলা মদ্যপ ছিল। সেই অবস্থাতেই চড়াও হয় উজ্জ্বলের উপর। পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নেমেছে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে খাবার অর্ডার করা হয়েছিল সেটি ভূয়ো ছিল বলে খবর।