মহিলার যাওয়ার কথা বেঙ্গালুরু। তাই গন্তব্যে পৌঁছতে আসানসোল স্টেশনে এসে হাজির হন তিনি। তারপর একে ঠেলে তাকে সরিয়ে ওমুখকে ধাক্কা মেরে একটি ট্রেনে উঠে পড়েন ওই মহিলা। কিন্তু সেটি কোথায় যাবে? সেটা দেখেননি তিনি। তাই কিছুক্ষণ সফর করার পর তাঁর টনক নড়ে ওঠে। বুঝতে পারেন ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছেন তিনি তাড়াহুড়ো করে। আর তখনই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন ওই মহিলা।
ঠিক কী ঘটেছে আসানসোলে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আসানসোল স্টেশন থেকে তাড়াহুড়ো করে একটি ট্রেনে উঠে পড়েন এক মহিলা। তিনি কোন ট্রেনে উঠছেন, সেটা তাঁর গন্তব্য পর্যন্ত যাবে কিনা দেখেননি। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন। ট্রেনে অন্যান্য যাত্রীরা জানান, এই ট্রেন উল্টোপথে যাচ্ছে। অর্থাৎ গন্তব্য হাওড়া। তখন আবার তাড়াহুড়ো করে চলন্ত ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে লাফ দেন ওই মহিলা। পড়েন ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় স্টেশনে। ছুটে আসেন কয়েক জন যাত্রী এবং কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। মহিলা যাত্রী আসানসোলের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা। নাম কৃষ্ণা মাজি। তিনি শুক্রবার বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য আসানসোল স্টেশনে আসেন। আর কোনও কিছু না দেখেই উঠে পড়েন ডাউন চম্বল এক্সপ্রেস ট্রেনে। কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন ভুল হয়ে গিয়েছে। তখন তড়িঘড়ি চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেন। আর তাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে। ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই মহিলা পড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? রেল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তিনি আঘাত পান। চোট পেলেও এখন সুস্থ আছেন ওই মহিলা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ঠিক ট্রেনে তুলে দিয়েছেন আরপিএফ কর্মীরা। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘যাত্রীদের এই বিষয়গুলিতে বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। ট্রেন থেকে নামার অনেক উপায় আছে। আর কোন ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ছে সেটা ঘোষণা করা হয়। সেটা শুনে ট্রেনে সফর করা উচিত।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup