গল্প করতে করতেই মন্তেশ্বরের বারাপুরে প্রৌঢ়ার গলায় ছুরির কোপ বসিয়ে দিল এক মহিলা। এমনকী মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথারি কোপ মারা হয়। এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয় মহিলাকে। সোমবার রাতে মন্তেশ্বরের প্রৌঢ়া শান্তি হাজরার খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আর মহিলা কাকলি রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এমন ঘটনার কারণ কী? পুলিশের কাছে জেরায় ওই মহিলা জানিয়েছে, ওষুধ কেনার নাম করে ওই প্রৌঢ়াকে সে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তাদের দু’জনেরই বাড়ি মামুদপুর গ্রামে। একসময় শান্তিদেবী অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে কাজ করতেন। তাই সে ডাকায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বারাপুর গ্রামের বাইরে রাস্তার পাশে গল্প করার অছিলায় তাঁর শরীরে ছুরির কোপ মারা হয়। তবে, খুনের ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে একজোড়া ছেলেদের চটি উদ্ধার হয়েছে। সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত মহিলা জেরায় জানিয়েছে, সে একা খুন করেছে। তবে কী কারণে সে নির্মমভাবে ওই মহিলাকে খুন করেছে তা সে স্পষ্ট করেনি। রক্তমাখা কাপড় পড়েই সে মোটর ভ্যানে উঠে যায় বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে। কিন্তু শাড়িতে রক্ত দেখে ভ্যান চালক তাকে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি কার্লভাটে কয়েকজন যুবক বসেছিলেন। তাঁরা ভ্যানচালকের কথা শুনে সেখানে আসেন। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তখনও সে ঘটনার কথা স্বীকার করেনি। পরে ওই যুবকরা মাঠের ধারে যেতেই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি থানায় খবর দেওয়া হয়।
কেন এই খুন করা হল? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সে ১০ বছর বাড়িতে ছিল না। পরে আবার বাড়িতে ফিরে আসে। মৃত প্রৌঢ়া একসময় তাঁর বাড়িতে কাজ করলেও হঠাৎ করেই তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরনো কোনও আক্রোশের প্রতিশোধ নিতেই এই খুন করা হয়েছে। মৃত প্রৌঢ়া অভিযুক্ত মহিলার গোপন কোনও কিছু জেনে থাকতে পারেন বলেও মনে করছে পুলিশ।