এবার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল বনগাঁয়। তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সারারাত গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী তরুণী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেও সেই অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, জন্মদিনের পার্টি সেরে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হন তরুণী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর ভরতপুরের কালিতলায়। এই ঘটনায় বুধবার একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের তল্লাশি চলছে।
ঠিক কী ঘটেছে বনগাঁয়? স্থানী্য সূত্রে খবর, বনগাঁর গোবরাপুরে থাকেন ওই তরুণীর পরিবার। মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকেন। আর এই এলাকায় বিউটিশিয়ান বলেই তিনি পরিচিত। কারণ এটাই তাঁর পেশা। তাঁর বাবা কর্মসূত্রে থাকেন অন্য রাজ্যে। ভরতপুরের তাঁর মামাবাড়িতে মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ওখানে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ ছিল সুদীপ বিশ্বাস নামে এক যুবকের বাড়িতে। সেখানে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। ওই অনুষ্ঠানে তরুণী মদ্যপান করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই অবস্থায় বাড়ি ফিরতে গিয়ে কয়েকজন যুবকের হাতে পাকড়াও হন। তারা তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সারারাত গণধর্ষণ করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী মদ্যপ ছিলেন ঠিকই। কিন্তু তাঁকে তাঁর বন্ধু সুদীপ বাড়ির সামনে ছেড়ে দিয়ে যান। তারপর সেখান থেকে বাড়িতে ঢুকতে যাবার আগেই তাঁকে মুখ বন্ধ করে তুলে নিয়ে যায় যুবকরা। শোভন রায়, দেবব্রত রায় এবং সুজিত বিশ্বাস নামে তিন যুবক ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলাকার আমবাগানে সারারাত গণধর্ষণ করে। লাগাতার ধর্ষণ করা হলে ওই সংজ্ঞা হারান। তারপরও যৌনলিপ্সা চালিয়ে যাওয়া হয়। তরুণীর পরনে পোশাক সম্পূর্ণ ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল।
রাত বাড়তে থাকায় এবং তরুণী না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তা করতে শুরু করেন। এমনকী ওই রাতে তাঁর খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। খুঁজতে খুঁজতে আমবাগান থেকে নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় নির্যাতিতার সংজ্ঞাহীন দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বনগাঁ হাসপাতালে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পলাতক এখনও দু’জন।