এবার বাদ পড়ল না পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীও। এই ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার অভিযোগ উঠল এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর। দিনের পর দিন তাকে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বলে অভিযোগ। শিশুকন্যার সঙ্গে এই নোংরা কাজ এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী ঘটেছে দাসপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সবার নজর এড়িয়ে পাশের বাড়ির শিশুকন্যাকে নিজের বাড়িতে ডাকত যুবক। তারপর নানা অছিলায় দিনের পর দিন তার সঙ্গে যৌন সঙ্গম করত যুবক। আতঙ্কে বাড়িতে কিছু বলতে পারত না শিশুকন্যাটি। কিন্ত এই কাজ বেশিদিন গোপন থাকল না। বাড়ির ভিতরে কন্ডোম পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় ওই যুবকের স্ত্রীর। এই নিয়ে স্বামীকে প্রশ্ন করা হলে সংসারে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। আর ফাঁস হয় গোটা ঘটনা।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই অশান্তি যখন চলছিল তখন তা কানে যায় শিশুকন্যার পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করতেই সে সব বলে দেয়। তৎক্ষণাৎ পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত যুবকের নামে দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ বিরোধী শিশু–সুরক্ষা আইনে (পসকো) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল? পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা শিশুকন্যার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। অভিযুক্তকে আদালতে তোলে পুলিশ। সেখানে তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, ‘আমাদের মেয়ের যা ক্ষতি হওয়ার হয়েছে। আমরা ওই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’