তখন আলুথালু বিছানায় যেন একে অপরকে খুঁজতে ব্যস্ত। পরের স্ত্রী তখন প্রেমিকের বাহুডোরে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রয়েছে। একে অপরকে চুম্বনে ভরিয়ে তুলেছে। কিন্তু চূড়ান্ত মুহূর্তে তাল কাটল। কারণ স্ত্রীর তার প্রেমিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত দেখে ফেললেন স্বামী। বাড়ি ফিরে স্বামী এই দৃশ্য দেখে চক্ষুচড়ক গাছ। দু’জনেই তখন লজ্জা ডাকার চেষ্টা করল। আর তারপর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হল ওই প্রেমিকের নগ্ন দেহ।
ঠিক কী ঘটেছে কুলতুলিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দিন রাতে এই যুবক আসত ওই গৃহবধূর বাড়িতে। মধ্যরাতে ফাঁকা বাড়িতে চলত চরম যৌনতা। মাদ্রাসা পড়ুয়া মোজাহার নস্করের সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তারপর প্রায়ই দুপুরে ওই বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু এবারই অঘটন ঘটে গেল। আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেললেন স্বামী। তারপর প্রেমিকের দেহ মিলল পুকুরে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলি থানা এলাকার শ্যামনগরে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, কর্মসূত্রে মহিলার স্বামী বাইরে যেতেন। আর তখনই ওই প্রেমিক যুবক বাড়িতে আসত। রাতের অন্ধকারে সেখানে আসত সে। কিন্তু শুক্রবার রাতে হঠাৎই বাড়ি ফিরে আসেন ওই গৃহবধূর স্বামী। তখন প্রেমিকের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। যদিও গৃহবধূর স্বামী জানান, তিনি বাড়ি ফিরে বিছানায় দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন। এরপর নাকি ওই রাতেই বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মোজাহারের দেহ উদ্ধার হয়।
কী বলছে মোজাহারের পরিবার? মোজাহারের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, তাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ওই গৃহবধূই রাত হলে মোজাহারকে ডাকত। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুলতুলি থানার পুলিশ। ওই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূ এবং তার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কুলতুলি থানার পুলিশ।