স্বামী বাড়িতে না থাকলেই পাড়ার বৌদির সঙ্গে দেখা করতে আসতেন প্রতিবেশী যুবক। আচমকাই একদিন স্ত্রীর সঙ্গে যুবকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেন স্বামী। এরপরই প্রতিবেশীরা ওই যুবককে মারধর করে। এই ঘটনার পরই আত্মহত্যার পর বেছে নেয় ওই যুবক। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার কুলগাছি এলাকায়। বিবাহিতা এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দেবব্রত দাস নামে এক যুবক। দেবব্রত চাষবাস করতেন। মাঝে মধ্যেই ওই মহিলার বাড়ি চলে আসতেন। বিশেষ করে স্বামী সঞ্জিত বিশ্বাস যখন থাকতেন না, তখন বৌদির সঙ্গে দেখা করতে চলে আসতেন দেবব্রত। ক্রমে ক্রমে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একদিন আচমকাই কোনও এক কারণ বশত তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসেন সঞ্জিত। তখন দেবব্রত সঞ্জিতবাবুর স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। দুজনকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলেন সঞ্জিত। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে নেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই দেবব্রতকে ধরে মারধর করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের রোষের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান দেবব্রত।
এরপর বাড়ির কাছেই দেবব্রতের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। যুবকের পরিবারের সদস্যদের মতে, অপমান সহ্য করতে পারেননি দেবব্রত। মহিলা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যুবকের পরিবারের লোকেরা। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই মহিলা ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেশিদের বক্তব্য, ‘এই ঘটনায় দেবব্রত একা জড়িত ছিলেন না। দেবব্রতর সঙ্গে ওই মহিলাও জড়িত ছিলেন। মহিলা ও দেবব্রতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। উল্টে দেবব্রতকে মারধর করা হয়। মারধর করা উচিত হয়নি।’