প্রেমিকা জীবিত আছেন। কিন্তু ফোন করে জানানো হয় তাঁর প্রেমিকা আত্মহত্যা করেছেন। শুনেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শেখ জাহিরুদ্দিন। এরপরই আত্মহত্যা করে সে। গোটা ঘটনায় হাওড়ার কোলোড়া পঞ্চায়েত এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ বছর বয়সি জাহিরুদ্দিন হাওড়ার দক্ষিণ কোলোড়ার শেখ পাড়া এলাকার বাসিন্দা। নতিবপুরের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা পারবিনা শেখের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল জাহিরুদ্দিনের। তবে মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি পারবিনার পরিবারের সদস্যদের কেউই। জাহিরুদ্দিন কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সম্প্রতি মেয়ের পরিবারের সদস্যদের তরফে জাহিরুদ্দিনকে ফোন করে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মেয়ের এই পরিণতির জন্য জাহিরুদ্দিনই দায়ী। জানা যায়, শুনেই ভেঙে পড়েছিলেন ওই যুবক। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এরপর গত রবিবার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন জাহিরুদ্দিন।
মৃত জাহিরের মা নাসিমা বেগম জানান, ‘দুজনের প্রেমের সম্পর্ক জানতে পেরে মেয়ের বাড়িতে আমি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাই। সেখানে আমাদেরকে অপমান করে বের করে দেয় মেয়ের পরিবারের লোকেরা। মাঝেমধ্যেই আমার ছেলেকে মেয়ের বাড়ি থেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলেকে মিথ্যে কথা বলা হয়। সেজন্যই আমার ছেলে আত্মহত্য করেছে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘মেয়ের পরিবারের লোকেদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’ যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়ের মা তৈয়বা শেখ জানান, ‘ছেলের বাড়িঘর রোজগার ভালো না থাকার জন্য আমরা বিয়েতে রাজি হইনি।’ ঘটনা প্রসঙ্গে কোলোড়া ১নং পঞ্চায়েত প্রধান নিলুফা মল্লিক জানান, ‘ঘটনার কথা আমি দিন দশেক আগে জানতে পারি। প্রায় চার বছর ধরে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে দুই পক্ষকে সামনাসামনি বসিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করি। তবে তা মেটেনি।’ তাঁর মতে, ‘মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ের কথা হচ্ছিল। সেই বাগদানের ছবি ছেলেকে পাঠালে সেটা দেখে সহ্য করতে পারিনি বলেই আত্মহত্যা করেছে।’