কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম অনুয়ায়ী, একটি টিকা নেওয়ার ১২ সপ্তাহ পর আর একটি টিকা নিতে হবে। একসঙ্গে দুটো টিকা নেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী এক ব্যক্তিকে পরপর দুটি টিকা দিয়ে বসলেন। প্রথম এবং দ্বিতীয়। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। এমনই অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্য তৈরি হল। স্বাস্থ্যকর্মী অন্যমনস্ক হয়ে পরপর দুটো ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জানা গিয়েছে, একসঙ্গে দুটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নেওয়া ওই যুবকের নাম সইফুদ্দিন দফাদার। গুপ্তিপাড়ার বাসিন্দা সইফুদ্দিন বুধবার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে টিকার প্রথম ডোজ নিতে যান। আর স্বাস্থ্যকর্মী সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে করতে তাঁকে পরপর দুটি টিকা দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এখন প্রবল শারীরিক অস্বস্তি তৈরি হয়েছে সইফুদ্দিনের। এমনকী বিষয়টি নাকি চেপে যেতে বলেছিলেন অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী বলেও অভিযোগ। তবে পাণ্ডুয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সইফুদ্দিন।
এই বিষয়ে সইফুদ্দিন জানান, শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলাম। তাই এখানের হাসপাতালেই টিকার জন্য আধার কার্ড দিয়ে আবেদন করেন। সইফুদ্দিন বলেন, ‘টিকা নেওয়ার সময় আমি মুখ ঘুরিয়ে রেখেছিলাম। স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করতে করতে টিকা দিচ্ছিলেন। প্রথম টিকার পর বিন্দুমাত্র সময় না দিয়েই দ্বিতীয় টিকা দেন স্বাস্থ্যকর্মী।’ তার পর থেকেই পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসেও জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকে এক ব্যক্তিকে পরপর তিনবার করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। এবার পর পর দু’বার দেওয়া হল টিকা। এই নিয়ে তদন্তে নেমেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। অবাক সকলেই।