সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি মাদকের কারবারও করেন আলিউল্লা শেখ। আর এই মাদকের কারবারে টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরু হয় বচসা, বচসা থেকেই হাতাহাতি। আবদুল্লাকে লক্ষ্য করে গুলিও করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাতে মালদহের সুজাপুরের গয়েশ বাড়ি এলাকার ন্যাংড়া মোড়ে চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন আলিউল্লা। সেখানে ছিলেম মহিদুর শেখ, মিন্না শেখও। তাঁরাও আবদুল্লার সঙ্গে মাদকের কারবারই করেন। দোকানে তাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তখনই উভয়ের মধ্যে বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে গিয়ে পৌঁছোয়। এরপর আচমকাই আলিউল্লা পেটে গুলি চালিয়ে দেয় মহিদুর ও মিন্না। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আলিউল্লা। আশেপাশের বাসিন্দারা আলিউল্লাকে নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান। সেখানেই তাঁর এখন চিকিৎসা চলছে।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ মহিদুর ও মিন্না। দুজনকে পুলিশ খুঁজে বেরাচ্ছে। একটু সুস্থ হলে আলিউল্লা বয়ান রেকর্ড করবে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিউল্লার স্ত্রী রজিনা বিবি ছাড়াও তিন ছেলে রয়েছে। আলিউল্লা সেলাইয়ের কাজ করলেও তা দিয়ে সংসার চলত না। সেই কারণেই বাড়তি অর্থ রোজগারের আশায় মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছিলেন আলিউল্লা।