নেশায় আসক্ত ছেলে। তাই পরিবার চেয়েছিল এই নেশা ছাড়াতে। তার জন্য ছেলেকে নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় আসছিলেন মা–বাবা এবং ভাই। কিন্তু মাঝরাস্তায় ঘটে গেল বিপত্তি। ছেলের চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাবার পথে উলুবেড়িয়ায় গাড়ি থেকে নেমে নয়ানজুলিতে ঝাঁপ দেয় ছেলে। গভীররাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও মিলল না ছেলেকে। চোখের জল ফেলছে গোটা পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছিল রাতে? পরিবার সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ দাস। তাঁর ছেলে শান্তিগোপাল দাসকে (২৬) নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন ছেলের নেশা ছাড়াতে। সঙ্গে ছিলেন গোবিন্দ দাসের স্ত্রী এবং ছোট ছেলেও। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ উলুবেড়িয়ার একটি ধাবাতে দাঁড়ায় গাড়িটি। গাড়িতে তখন বাবা–মা ভাই ও নেশায় আসক্ত ওই যুবক ছিলেন। চা খাওয়ার জন্য তাঁরা গাড়ি থেকে নামেন। তখনই শান্তিগোপাল দাস গাড়ি থেকে নেমে দৌড় লাগায়।
তারপর কী ঘটল? এই দৌড় দেখেই তার পিছনে ধাওয়া করে ভাই। কিন্তু শান্তিগোপাল জাতীয় সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে ঝাঁপ দেয়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে চোখের জল ফেলছেন গোটা পরিবার। অন্ধকারের মধ্যেই খোঁজাখুঁজি শুরু করলেও কোনও হদিশ মেলেনি। সকালে স্থানীয়রাও খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন।
কেন নেশায় আসক্ত ছিল শান্তিগোপাল? নেশায় আসক্ত ছেলের বাবা গোবিন্দ দাস বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার ছেলে একটা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তারপর তা ভেঙে যায়। তখন থেকেই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে শান্তিগোপাল। অনেক চেষ্টা করেও তা ছাড়ানো যায়নি। তাই কলকাতায় নিয়ে আসছিলাম চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু অঘটন ঘটে গেল।’