দুই শিশু তখন ঘুমাচ্ছিল। আর তাদের মাকে নিয়ে টানাটানি চলছিল। সেই চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় শিশুদের। এই দুই শিশুর বয়স তিন এবং পাঁচ। তাদের ঘুম ভেঙে যেতেই গালে চড় কষিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তাদের বেঁধে ফেলা হয়। আর তাদের মায়ের মুখ কাপড়ে বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েও পড়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে সন্দেশখালি গ্রামে? এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে এক যুবক। তারপর দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তখন ওই মহিলা প্রতিবাদ করেন। তখন মহিলার মুখ বেঁধে তাঁকে সন্তানদের সামনেই লাগাতার ধর্ষণ করে যুবক। এমনকী কাউকে জানালে শিশুদের খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়। ভয়ে দু’দিন চুপ করে ছিলেন নির্যাতিতা। তারপর সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সেই সুযোগ নিয়েই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত যুবককে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে আদিবাসী ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
ঠিক কী অভিযোগ নির্যাতিতার? পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান, ‘হাতে–পায়ে ধরি বেঁধে দেয়। ঘরে দু’টো ছোট বাচ্চা আছে। এসব করতে নিষেধ করি। কিন্তু কোনও কথা শোনেনি। আমি বাধা দিয়েছিলাম বলে মারধর করা হয়েছে। বাচ্চা দু’টোকেও মেরেছে। এই অবস্থায় ওদের চোখের সামনেই আমার মুখ বেঁধে অত্যাচার করা হয়েছে।’