লঞ্চ তখন মাঝ গঙ্গায়। আচমকাই লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন ৩৫ বছরের এক যুবক। এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির রানিঘাটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও যুবকের দেহ পাওয়া যায়নি।
এদিন সকালে বেড়ানোর নাম করে ভাগ্নে আকাশের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন ঈশ্বর। চন্দননগর রানিঘাটে ভাগ্নেকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। সেখানে ভাগ্নেকে কিছু টাকা দিয়ে জল আনতে পাঠান। এরপর নিজে টিকিট কেটে জগদ্দল যাওয়ার লঞ্চে উঠে পড়েন। ভাগ্নে তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলেও তাঁকে নিয়ে যান তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মাঝ গঙ্গায় যুবককে ঝাঁপ দিতে দেখে মাঝিরা বয়া ফেললেও সেই বয়া তিনি ধরেননি। এরপর মাঝ গঙ্গার বুকে অনেক খোঁজাখুজি চালানো হয়। কিন্তু ঈশ্বরের দেহ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, ঈশ্বর রাউত ভদ্রেশ্বর স্টেশন বাজার এলাকার খুরিগাছির বাসিন্দা। বাবা রুপম রাউত রেলে চাকরি করতেন। এখনও ছেলে চাকরি না পাওয়ায় গোটা সংসারটা নিজেই টানতেন রূপম।
জানা গিয়েছে, চাকরি না পাওয়ায় ক্রমশই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ঈশ্বর। পাড়ার লোকেদের কটূক্তিও তাঁকে শুনতে হয়েছে। পাড়ার লোকেরা এমনভাবে ঈশ্বরকে বিরক্ত করত যে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছিল পরিবারের লোকেরা। পুলিশ পাড়ার লোকেদের বুঝিয়ে চলে গেলেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের জন্যই তাঁদের ছেলেকে খোয়াতে হল। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় চন্দননগর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।