বর্ণপরিচয়ে লেখা আছে গোপাল বড় সুবোধ বালক। এই লাইনটি সবাই পড়েছেন। সেখানে আর এক গোপালকে পাওয়া গিয়েছে। যিনি সুবোধ একেবারেই নন। কারণ তিনি রোজ মদ্যপান করেন। আর ওই অবস্থায় টালমাটাল হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। প্রতিবেশীদের তা দেখতে দেখতে গা–সওয়া হয়ে গিয়েছে। আর এই গোপালই ঘটালেন চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। বুধবার বিকালে সবাইকে তিনি চমকে দিলেন।
কী এমন ঘটল? গোপাল রোজ মদ খেয়ে টলোমলো পায়ে বাড়ি ফেরেন। তারপর চিৎকার করেন। এটাই রোজকার ঘটনা। এমনকী বাড়ির লোকজনের উপর হম্বিতম্বি করা তাঁর স্বভাব। গোপালের কাণ্ডে অশান্তিতে গোটা পরিবার। বুধবারও মদ খেয়ে টলতে টলতে বাড়ি ফেরেন গোপাল। তা নিয়েই মায়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা বাধে। রেগে গিয়ে জীবনটাই শেষ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।
ঠিক কী ঘটেছে? গোপাল এই হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাগের চোটে সোজা হাইটেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন তিনি। সেখানে উঠে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বীরভূমের তারাপীঠ সংলগ্ন সরলপুর গ্রামে তখন হইহই রব উঠেছে। ভিড় জমে যায়। নেমে আসতে বললেও তিনি কথা শোনেন না। তখন সবাই খবর দেন পুলিশে।
তারাপীঠ থানার পুলিশ এসে গোপালকে সুরক্ষিত ভাবে উদ্ধার করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম গোপাল লেট। তাঁর বাড়ি বীরভূমের তারাপীঠের রবীন্দ্রপল্লিতে। তারাপীঠের একটি হোটেলে কেয়ারটেকারের কাজ করেন। রোজই মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন। বাবা–মায়ের সঙ্গে অশান্তি হতো। বুধবার বিকেলেও গোপাল মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলে অশান্তি চরমে ওঠে। তার জেরেই এই ঘটনা ঘটান তিনি।