সীমান্তের ওপারে উগ্রপন্থীদের তাণ্ডবের মধ্যেই সীমান্ত পারাপারের সময় এক বাংলাদেশির কাছ থেকে উদ্ধার হল ভারতীয় আধার কার্ড। মঙ্গলবার কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধ সীমান্তে ওই ঘটনায় ৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিএসএফ। ধৃত স্বীকার করেছে ২০২০ সালে ভারতে থাকাকালীন ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে আধার কার্ডটি বানিয়েছিলেন তিনি। ওদিকে মঙ্গলবারই এক রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আধার কার্ড ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়।
আরও পড়ুন - ওখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে প্রতিক্রিয়া হতে পারে: দিলীপ ঘোষ
পড়তে থাকুন - বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করুক ভারত সরকার: VHP
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সীমান্তে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তারই মধ্যে চলছে সীমান্ত পারাপার। মঙ্গলবার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে অভাবসন পরীক্ষার সময় এনামুল হক নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে এতটি ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। জেরায় ওই ব্যক্তি জানান, ২০২০ সালে দিল্লিতে থাকাকালীন ২০ হাজার টাকা দিয়ে ওই আধার কার্ড বানিয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালের বিলে ছাড় পাওয়ার জন্য তিনি আধার কার্ড তৈরি করান। এর পর এনামুল ও তাঁর ২ সন্তানকে আটক করে বিএসএফ। ধৃতরা বাংলাদেশের রংপুর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, ঘোষণা করে কারণ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
ওদিকে মঙ্গলবার আধার বাতিলের দাবিতে দায়ের এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আধার ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও প্রামাণ্য নথি নয়। আদালত জানিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে যে আইন বলে আধার বাতিল করা হয়েছিল তা সংবিধান বিরোধী। ২০২৩ সালে পাশ হওয়া ওই আইনে আধার কর্তৃপক্ষকে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের অধিকার দেওয়া হয়েছে। যা সংবিধানসম্মতভাবে তারা করতে পারে না।