গরুপাচার মামলায় জড়িত আবদুল লতিফের জামিন বহাল থাকল। শর্তসাপেক্ষে জামিনের মেয়াদও বাড়ল। আবার কিছুটা শিথিল করা হয়েছে জামিনের শর্ত। তাই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পরবর্তী হাজিরা দিতে হবে ২০ মে। আগে আবদুল লতিফকে চারদিন অন্তর সিবিআই–এর আইও’র সঙ্গে দেখা করতে হবে। সেদিনই লতিফকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ, সোমবার এই রায় দিলেন আসানসোল বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এমনকী ৪ মে পর্যন্ত সাতদিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল আবদুল লতিফকে। সেটা এখনও বহাল থাকছে বলেই খবর।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবদুল লতিফের রক্ষাকবচ নিয়ে শুনানি হয়নি। তাই রক্ষাকবচ অব্যাহত বা ওই অর্ডার একই থাকছে বলে যুক্তি দেখিয়ে লতিফের আইনজীবী আগের শর্তেই জামিনের দাবি করেছিলেন বিচারকের কাছে। কিন্তু, বিচারক আইনজীবী কে জানান, তাঁর আদালত থেকেই আবদুল লতিফের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তাই তাঁকে নিঃশর্ত জামিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেন বিচারক। গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা নেই। তাই রক্ষাকবচ অব্যাহত রইল।
অন্যদিকে আজ, সোমবার গরু পাচার মামলায় সিবিআই আইও আদালতে উপস্থিত হননি। এদিন সিবিআই আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করেন, ২৭ এপ্রিল নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তিনদিন অন্তর সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে আবদুল লতিফকে। সেই জিজ্ঞাসাবাদ কি পূরোমাত্রায় হয়েছে নাকি আরও বেশি করে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন? পাল্টা সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘তিনদিন পর পর তদন্তকারীরা আবদুল লতিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান।’ তখন লতিফের আইনজীবি আবেদন করেন, একসপ্তাহে তাঁর মক্কেলকে একবার জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভাল হয়। ইলামবাজার থেকে তিনদিন পর পর কলকাতায় যাওয়া কষ্টকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আর কী জানা যাচ্ছে? গত ৬ মে আসানসোল আদালতে এসেছিলেন আবদুল লতিফ। যদিও সেদিন শুনানি হয়নি। কারণ আইনজীবীর মৃত্যুতে শোক পালন চলছিল। ওইদিন কোনও পক্ষেরই আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাই আজ, সোমবার ভোরে আবদুল লতিফ হাজির হন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদলতে। মাথায় টুপি, মুখে মাস্ক, চোখে চশমা পরে তিনি প্রবেশ করেন আদালতে। তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই একসময় পরিচিত ছিলেন এই লতিফ। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম উঠে আসে আবদুল লতিফের। আবদুল লতিফকে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছিল এই মামলায়।