সুপ্রিম কোর্ট রক্ষাকবচ জারি করার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন গরুপাচার মামলার অন্যতম চার্জশিটেড অভিযুক্ত আবদুল লতিফ। বৃস্পতিবার সকালে আসানসোল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এদিন আদালতে হাজির ছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীও। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক। তবে সুপ্রিমকোর্টের রক্ষাকবচের পর আবদুল লতিফের জামিন পাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছেন আইনজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল আদালতে হাজির হন আবদুল লতিফ। লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু তাঁর জামিনের আবেদন করে বলেন, সর্বোচ্চ আদালত লতিফকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করবেন তিনি। এর পর বিচারক সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, তদন্তের স্বার্থে আবদুল লতিফকে তাদের প্রয়োজন কি না। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, খতিয়ে দেখে জানাতে পারব।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সিবিআই আদালতের বিচারক আবদুল লতিফকে ১৫ হাজার ব্যক্তিগত বন্ডে ৬ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। ৩ দিন অন্তর সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে তাঁকে।
গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে নাম রয়েছে আবদুল লতিফের। গত বছর অগাস্টে সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করেছিল সিবিআই। কিন্তু তার পর থেকে আবদুল লতিফের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে লতিফের গাড়িতেই খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। তার পর এক ভিডিয়োয় খুনের পর গাড়ির কাছেই লতিফকে পায়চারি করতে দেখা যায়। যদিও সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার তিনি। সূত্রের খবর, এর মাঝে কিছুদিন বাংলাদেশে ছিলেন লতিফ। ছিলেন ইলামবাজারেও।
ইলামবাজার গরুর হাটের ঠিক পাশেই পেল্লায় বাড়ি লতিফের। অভিযোগ, উত্তর ভারত থেকে আসা গরু ওই হাটেই হাতবদল হয়ে পাড়ি দিত মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশ সীমান্তের উদ্দেশ্যে। আর এই গোটা লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করতেন লতিফ। অনুব্রত মণ্ডলের সহযোগী হিসাবে কোটি কোটি টাকা গরুর হাট থেকে তুলেছেন তিনি।