২০২১ সালের শুরুতে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করতে নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য শিলিগুড়ি আসার কথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে)। কয়েক মাস আগে দু’জনই শিলিগুড়িতে এসে দু’দিন দলীয় বৈঠক করেছিলেন। চা বাগান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।এমনকী পাহাড়ের বিবদমান দু’পক্ষের সঙ্গেও তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে পিকে বসতে পারেন বলে খবর মিলেছে।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনিও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সংগঠন সাজাতে আসছেন। আলিপুরদুয়ার, নাগরাকাটা, মালদহের জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের স্থানীয় স্তরের যুব নেতাদের কেউ কেউ শাসকদলের সঙ্গ ছেড়েছেন। দশরথ তিরকে, শুক্রা মুন্ডা, মিহির গোস্বামীর মতো বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদেরা গেরুয়া শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের সংগঠনে নজর দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের পর শিলিগুড়ি আসছেন অভিষেক–পিকে।
সূত্রের খবর, নতুন বছরের শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারী জঙ্গলমহল, দক্ষিণবঙ্গের জেলা সফর শুরু করবেন। তার পরে তিনি উত্তরবঙ্গে আসতে পারেন। প্রতিটি জেলায় তাঁর অনুগামীরা অনেকেই এখনও তৃণমূলে আছেন। তাঁদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। জেলা সফরে আসার পর প্রত্যেক জেলায় আলাদা করে যোগদান কর্মসূচি হবে। সেখানে বহু লোকজনের দল ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতেই অভিষেক–পিকে’র উত্তরবঙ্গ সফর।
আবার পাল্টা দল ভাঙাতে গেরুয়া শিবিরের চা–বাগান এলাকার এক নেতার সঙ্গেও তৃণমূলের আলোচনা চলছে। সেই আলোচনা ফলপ্রসু হলে তিনি দলও ছাড়তে পারেন। আর যাঁরা শুভেন্দুর সঙ্গে যাবেন ধরেই নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের তালিকা তৈরি করে বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে। দলের উত্তরবঙ্গের এক নেতার কথায়, দলের ভাঙন যত দূর সম্ভব ঠেকিয়ে সংগঠনের পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য অভিষেক এবং পিকে আসছেন।