আজ দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষে বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও তলব করা হয়েছিল ইডির সদর দফতরে। তবে রুজিরা যাননি। তিনি কলকাতায় তাঁর বাড়িতে এসে প্রশ্ন করার জন্য ইডি কর্তাদের আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে অভিষেক ইডি-র তলবে হাজির হতে সকালেই জামনগরে ইডির দফতরে যান অভিষেক। দফতরের বাইরে তিনি জানান যে তদন্তে তিনি সহযোগিতা করবেন। তিনি বলেন, ‘এজেন্সি আমাকে তলব করেছে। আমি এসেছি। তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করব।’ এর আগে গতকাল দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে চ্যালেঞ্জ করে দিয়ে গিয়েছিলেন, '১০ পয়সারও আর্থিক জালিয়াতি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে ফাঁসিকাঠে ঝুলতে রাজি আমি।'
কয়লা পাচার কাণ্ডে গত ২৮ অগস্ট ইডি-র তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠানো হয়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে ৬ সেপ্টেম্বর ও রুজিরাকে ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের ব্যাংকের সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির দফতরে যেতে বলা হয়। তবে গত ১ সেপ্টেম্বর ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লিতে হাজিরা দেননি রুজিরা। বদলে চিঠি দিয়ে ইডিকে জানান, করোনা আবহে তাঁর পক্ষে শিশু সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে এতটা রাস্তা যাতায়াত করা সম্ভব নয়। তবে ইডি চাইলে তাঁদের কলকাতার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। এরপরই জল্পনা উঠেছিল, তাহলে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন না? সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েই এদিন রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
এদিকে একদিকে যখন অভিষেক দিল্লিতে ইডি-র দফতরে হাজির হবেন, তখন সোমবার দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলায় শুভেন্দুকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিআইডি। তবে সেই তলব এড়িয়ে যান তিনি। একটি মেল পাঠিয়ে শুভেন্দু জানান যে তিনি আজ ভবানী ভবনে যেতে পারবেন না। বাঁকুড়ায় এক দলীয় সভায় যোগ দেওয়ার কথা আজ শুভেন্দুর। এই আবহে ফের শুভেন্দুকে হাজিরা পাঠাতে পারে সিআইডি।
২০১৮ সালে কাঁথি থানার ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শুভেন্দুর দেহরক্ষী শুভব্রতর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেন। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে দাবি করা হলেও তা মানতে চাননি সুপর্ণা। তিনি গত ৭ জুলাই কাঁথি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ১৪ জুলাই কাঁথি থানার কাছ থেকে তদন্তভার হস্তান্তর করে নেয় সিআইডি।