আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচির কথা জানতে পেরেই পাল্টা ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেহেতু শুভেন্দু গড়ে এসে অভিষেক সভা করবেন তাই পাল্টা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে সভা করবেন শুভেন্দু। ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে ডিসেম্বর ডেডলাইন জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই উন্নয়নকে সামনে রেখেই মাঠে নামতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দুর্নীতিকে ইস্যুকে করে ফসল ঘরে তুলতে চায় বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটেই অভিষেক–শুভেন্দুর সভা। যদি শুভেন্দুর মুখে শোনা গিয়েছিল, এই মাসেই সরকার পড়ে যাবে। বড় ডাকাত ধরা পড়বে। আর তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে এসব শুভেন্দুর ফাঁকা আওয়াজ। এখন কুণাল ঘোষকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুর জেলায়। সেখানে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে শুভেন্দুকে চাপে রাখা গিয়েছে বলে মনে করছে শাসকদল। এই প্রেক্ষাপটে যুযুধান দু’জনের পরস্পরের ঘাঁটিতে সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডেকে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে বিরোধী দলনেতাকে বলে বেড়াতে হচ্ছে, তিনি পা ছুঁয়ে প্রণাম করেননি। যদিও এমন কোনও দাবি মুখ্যমন্ত্রী করেননি। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলতে শোনা যাচ্ছে না। সুতরাং এই সাক্ষাৎ নিয়ে দলের অন্দরে বেশ চাপে পড়েছেন বোঝা যাচ্ছে। তাই পাল্টা সভা করে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ৩ ডিসেম্বর শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যেখানে সভা হবে তার পাশেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জ।
বিজেপি ঠিক কী করবে? অন্যদিকে অভিষেকের সভার পাল্টা হিসাবে ৩ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের সভা করবেন শুভেন্দু। স্থানীয় দোলনঘাট বাসস্ট্যান্ডের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখন দেখার সেখান থেকে কি বলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’ কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।