বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > অভিষেক আমাকে ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না, বললেন মারিশদার পঞ্চায়েত প্রধান

অভিষেক আমাকে ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না, বললেন মারিশদার পঞ্চায়েত প্রধান

শনিবার কাঁথিতে অভিষেক।

সভায় বক্তব্য রাখার সময় মারিশদার বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, একটা পঞ্চায়েতে কাজ না হলে প্রধান – উপ প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিও দায়ী।

রাতারাতি গিয়েছে পদ। ভরা সভায় ভর্ৎসনা করে তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল। বললেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন না।

শনিবার কাঁথির সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে মারিশদায় গ্রাম থেকে নামেন অভিষেক। অভিষেককে দেখে ঘিরে ধরেন গ্রামের মহিলারা। বলেন, ‘আমরা কিছুই পাইনি।’ ভাঙা বাড়ি দেখিয়ে বলেন, ‘এই বাড়িতে জল পড়ে। রাস্তা খারাপ। তার মধ্যেই রয়েছি। একথা শুনে অভিষেক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর পর তিনি চলে যান কাঁথির প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে, সভাস্থলে।

সভায় বক্তব্য রাখার সময় মারিশদার বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, একটা পঞ্চায়েতে কাজ না হলে প্রধান – উপ প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিও দায়ী। আমি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান – উপ প্রধানের পদত্যাগ পত্র আমার টেবিলে চাই। নইলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

দলীয় সভায় অন্যান্যদের সামনে এভাবে অভিষেকের ভর্ৎসনার মুখে বিড়ম্বনায় পড়েন মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুরানি মণ্ডল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে প্রধান হয়েছি। আমাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না। জনগণের বললে নিশ্চই ইস্তফা দেব’।

তাঁর সংযোজন, ‘পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসার পর কেউ দলের থাকে না। তবে একটা দলের থেকে আমি প্রধান হয়েছি। দল বললে ইস্তফা দিতে হবে’।

গোটা ঘটনায় বিজেপির কটাক্ষ, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির চাকরি করলে মালিকের নির্দেশে ইস্তফা দিতে হবেই।

 

বন্ধ করুন